সম্পর্ক স্বাভাবিকের পর প্রথমবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে এসেছেন ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট।
সোমবার উপসাগরীয় এই দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল-নাহিয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি।
আবুধাবিতে নিযুক্ত ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত আমির হায়েক জানিয়েছেন, এ বৈঠকে ইরান ইস্যু স্থান পেয়েছে। খবর রয়টার্সের।
যুক্তরাষ্ট্রসহ ৬ বিশ্বশক্তি ইরান পরমাণু চুক্তি বাঁচানোর চেষ্টায় আলোচনা চালানোর এই সময়ে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী আমিরাত সফর করছেন। ভিয়েনায় ইরানের পরমাণু চুক্তি নিয়ে আলোচনার বিরুদ্ধে ইসরাইল সম্প্রতি তাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করছে।
ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত আমির হায়েক ইরান নিয়ে দুই নেতার আলোচনার বিস্তারিত প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। তবে ইসরাইলের সেনা বেতারে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী (নাফতালি বেনেট) কেবল ইরান নিয়ে কথা বলতে আবুধাবিতে আসেননি।
যুক্তরাষ্ট্রের উদ্যোগে গত বছর সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন, সুদান এবং মরক্কো ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে। এই চার দেশের প্রথম কোনো প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রোববার আমিরাত সফরে যান বেনেট।
দুই দেশের কূটনৈতিক পদক্ষেপের পথে হাঁটার অন্যতম কারণ হচ্ছে, ইরানের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ। তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টাও চালাচ্ছে।
এদিকে ইসরাইলকে আবারও মুসলিম বিশ্বের এক নম্বর শত্রু হিসেবে ঘোষণা করেছে ইরান।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেত সংযুক্ত আরব আমিরাত সফরে আসার পর এক প্রতিক্রিয়ায় ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিবজাদেহ এ ঘোষণা দিয়েছেন।
ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট রোববার রাতে সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করেছেন।
বেনেটের আরব আমিরাত সফরের প্রতিবাদ জানিয়েছে ফিলিস্তিনের ইসলামি জিহাদ আন্দোলন। এ সফরকে ফিলিস্তিনি জাতির প্রতি আমিরাতের বিশ্বাসঘাতকতা বলে উল্লেখ করেছে সংগঠনটি।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, ইসরাইল মুসলিম বিশ্বের প্রধান শত্রু ছিল, আছে এবং থাকবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।